নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির (এনএসএস) আয়োজনে বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা ও আনন্দ র্যালি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩রা মে ) দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পূর্বে শহরে একটি র্যালী করা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,নারায়নগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান দিপু, সাধারন সম্পাদক আল-মামুন খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আহমেদ, সহ-সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,কার্যকরী সদস্য মো: শহীদ, আব্দুল আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল করিম, আল-আমিন, কিবরিয়া, সজিব।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সংবাদ সংগ্রহ করতে যারা রাজপথে থাকে তারাই শুধুমাত্র সংবাদ কর্মী একথা ভুল, একজন সংবাদ কর্মী তার লেখনীর মধ্যে দিয়ে সে প্রমাণ করে সে এই পেশায় নিয়োজিত আছে এবং সংবাদ পত্রকে সঠিক তথ্য দিয়ে তা প্রকাশনার কাজে সহায়তা প্রদান করছে অর্থাৎ সংবাদপত্রের ধারক বা বাহক হিসেবে কাজ কওে যাচ্ছে এই সকল ব্যাক্তিদের সংবাদকর্মী বলা যেতে পারে। একশ্রেনীর মানষ আছে সভা সমাবেশে আসে না অথচ সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত তাহলে কি সে সাংবাদিক নয়? এয়দানে বা মাঠে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করলেই একজন মানুষ নিজেকে পরিপূর্ন সাংবাদিক দাবি করতে পারে না, সংবাদ পত্রের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে যারা সংবাদের সেবা করছেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশ ও জাতির কল্যানে আতœনিবেদন হয়ে কাজ করছেন এই সকল ব্যাক্তি কেউ সংবাদ কর্মী বলা যেতে পারে তবে পেশাদার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন থাকে না কারন তারা সংবাদ কর্মী তৈরী করেন এবং তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে দেশের ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন তথ্য জনগনকে পত্রিকার মাধ্যমে অবহিত করে সহযোগিতা করে থাকেন। সংবাদ পত্রের একজন সম্পাদকের উপর নির্ভর করে কোন সংবাদটি প্রকাশিত হবে আর কোনটি হবে না তাই প্রকৃত সম্পাদকদেরও খেয়াল রাখতে হবে রাষ্ট্র যেন কোন ভুল তথ্য না পায় আমার প্রকাশিত কোন সংবাদে। এই পেশায় আমরা হঠাৎ করে একটি নতুন মুখ দেখরেই বলে থাকি এই ব্যক্তি সাংবাদিক নয় কিন্তু বলার আগে কি একবার ভাবি এই ব্যাক্তি সাংবাদিকতা করার যোগ্যতা রাখে কি রাখে না? নতুন যারা এই পেশায় পদার্পন করছেন তাদের প্রতিভাকে আরো জাগ্রত করে তুললে সেও একদিন হতে পারে দেশের বড় কোন একজন কলম যোদ্ধা অথবা বড় কোন কলমিষ্ট। তাই আমরা যারা সংবাদ পত্রে নিয়োজিত আছি তাদেরকে মনে রাখতে হবে নবিনদেরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে, তানাহলে প্রতিভাবন কলম সৈনিকরা অবহেলিত হয়ে দারে দারে ঘুরবে এবং এই মহান পেশা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরবে। অপসাংবাদিকতার কারনে কুলশিত হচ্ছে আমাদের সুশিল সমাজ এবং একশ্রেনীর হলুদ সাংবাদিতার কারনে এই পেশার প্রতি অনেকের অনিহা জন্ম নিচ্ছে। জাতির বিবেকবান পুরুষদের সাংবাদিক বলা হলেও কিছু অর্থলোভী সংবাদকর্মীর জন্য হারাতে বসে এর সুনাম ও খ্যাতি।ঘারে ক্যামেরা আর পকেটে কলম থাকলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে নিজেকে প্রমান করতে হবে আমি এই পেশার যোগ্য। একটি দুইটি দশটি জনসভার কাভারেজে করলেই নিজেকে সাংবাদিক দাবি করা যায় না। সাংবাদিকতার ধারা নিয়ম কানুন সহ যারা সংবাদ সংগ্রহে পারদর্শী তারাই একমাত্র সংবাদকর্মী। ডিগ্রি ছাড়া যারা এই পেশায় নিয়োজিত তাদেরকে শুধুমাত্র সংবাদ কর্মী বলা যেতে পারে সাংবাদিক নয়। আর যারা জার্নালিজম কওে এই পেশায় সম্পৃক্ততা বজায রেখে জনগনের জন্য সংবাদের সেবা করছেন তারাই প্রকৃত অর্থে সাংবাদিক বা কলমিষ্ঠ। তাই বিশ^ গণমাধ্যম দিবসের মধ্য দিয়ে বলতে চাই অপসাংবাদিকতা রোধ করতে হবে। সাংবাদিকতার সুষ্ঠ ধারা ফিরে আনতে সকল কে এগিয়ে আসতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশের সাধারন মানুষকে উপকৃত করতে হবে।বাঙালী জাতি, জাতির বিবেকবান পুরুষদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা কওে তাই আমরা আমাদের এই মহান পেশাকে কুলশিত না করে এর অপব্যবহার না করে সঠিক পথে পরিচালিত করবো তাহলে এদেশের মানুষ আমাদের এই মহান পেশাকে সন্মানের সহিত দেখবে। সাংবাদিকের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও দামি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আমরা জাতির বিবেকবান পুরুষ হয়ে জনগনকে ভাল কিছু উপহার দিতে বদ্ধপরিকর হয়ে কাজ করে যাব। বিশ^ গণমাধ্যম দিবস সফল হোক।